স্মার্ট কা্র্ডের অপব্যবহারে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: গত কয়েকদিন থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট বারবার শেয়ার হচ্ছে। পোস্টটিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি একটি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপটি কেটে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন! তার ধারণামতে কার্ডটি স্মার্ট হওয়ায় হয়তো সেটি মোবাইল ফোনে সীমের কাজ করতে পারে!
যেই ভাবা সেই কাজ! ঐ ব্যক্তি তার স্মার্টকার্ডটি এভাবেই সিমের আকারে কিছু অংশ কেটে তার মোবাইল ফোনে ভরে চেস্টাও নাকি চালিয়েছিলেন বারকয়েক!
ফেসবুকের ভাইরাল হয়ে পড়া সেই পোস্ট থেকে জানা যায় সেই ব্যক্তিটি না কি শেষ অবধি স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে, তার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপটি সিম কার্ড হিসেবে কাজ করছে না!’
নির্বাচন কমিশন সুত্র বলছে, ইচ্ছাকৃতভাবে স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট করলে অথবা এর অপব্যবহার করলে কিন্তু জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এ ধরনের যে কোন’ভুলবশত’ করা কোন ঘটনাও একটি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার। এক্ষেত্রে একজনের অপরাধ প্রমাণ হলে তার অনুর্ধ দুইবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের অপরাধ ও শাস্তি বিষয়ক বিধানগুলোতে এ বিষয়ে পরিস্কার নির্দেশনা রয়েছে।
কমিশনের নির্দেশনা মতে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র বিকৃত বা নষ্ট করে তাহলে তাকে দুই বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডেই দণ্ডিত করা করা হবে।
আর একটা ব্যপার হয়তো অনেকেই জানেননা, তাই সবার জেনে রাখা ভালো। স্মার্ট কার্ডের এই পরিচয়পত্র হারালে কিন্তু তা টাকা ছাড়া মিলবে না। প্রথমবার বিনামূল্যে দেয়া হলেও প্রথমবার হারিয়ে গেলে ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বারের জন্য ৩০০ টাকা এবং পরবর্তী যে কোন বারের জন্য ৫০০ টাকা নির্বাচন কমিশন সচিবের অনুকূলে জমা দিতে হবে। আর জরুরি ভিত্তিতে পরিচয়পত্র পেতে হলে এক হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে নাগরিকদের।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর