সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮৩ রানের সংগ্রহ গড়ে রংপুর। জবাবে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকার ইনিংস।
ব্যাটে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ২২ রানে ওপেনার ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় তারা। ১৩ বলে ২০ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে রনি তালুকদার ফিরে যান ৭ বলে ১১ রান করে।
বাবর আজম একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ১৩তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় ঢাকায়। ওভারের তৃতীয় বলে নুরুল হাসান সোহান ফিরে যান ২৪ বলে ২৬ রান করেন। শেষ বলে দলীয় ৯৯ রানে নবীকেও ফেরান আরাফাত সানি। ২ বলে ১ রান করেন নবী।
১৬.৩ ওভারে দলীয় ১৩৮ রানে বাবর আজমকে ফেরান গুনাথিলাকা। পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৬ বলে ৬২ রান করেন বাবর। ১৮.৪ ওভারে দলীয় ১৭৪ রানে ফিরে যান ব্যাট হাতে ঝড় তোলা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুটি চার ও তিন ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করেন এই আফগান অলরাউন্ডার।
১৯.১ ওভারে শামীম হোসেনকে ফেরান আলাউদ্দিন বাবু। একটি করে চার ও ছক্কায় ৮ বলে ১৭ রান করেন শামীম। ১৯.৪ ওভারে রিপন মন্ডল ফিরে যান রান আউট হয়ে। পরে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন শেখ মেহেদী হাসান। মেহেদী করেন ৫ বলে ৮ রান। চোখের সমস্যার কারণে এদিন অবশ্য ব্যাটে নামেননি সাকিব আল হাসান।
ঢাকার আরাফাত সানি তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া তাসকিন, শরীফুল, আলাউদ্দিন ও গুনাথিলাকা একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে নেমে রংপুর বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকার টপ অর্ডাররা। ৩২ রানেই চার ব্যাটারকে হারায় তারা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেককে নিয়ে ৪৯ রান তোলেন অ্যালেক্স রোস। রোস একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ১৩.২ ওভারে দলীয় ৮১ রানে মোসাদ্দেক ফিরে ১৮ বলে ১৫ রান করে। পরের বলেই ইরফান শুক্কুর ফিরে যান কোনো রান না করেই।
১৬তম ওভারের শেষ বলে আলাউদ্দিন বাবুকে ফেরান সাকিব। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রোসকে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান। সাতটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ বলে ৫১ রান করেন এই অজি ব্যাটার। পরে ১০৪ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
রংপুরের হয়ে শেখ মেহেদী নেন তিন উইকেট। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া সাকিব ও নবী নেন একটি করে।
শেয়ারবাজারনিউজ ডটকম/ শি.